Technical tips-1

Technical tips-1

AVOID LOAN ==========

শেয়ার মার্কেটে যারা বিজনেস করছেন সবাই জানেন বিভিন্ন ব্রোকারেজ হাউস, মার্চেন্ট bank পাব্লিকের টাকার বিপরীতে লোন দিয়ে থাকে বিজনেস করার জন্য। বাংলাদেশে এক সময় তা 3:1 (1টাকার বিপরীতে 3টাকা) পর্যন্ত লোন দেয়া হত। এখন  BSEC তা কমিয়ে করেছে 0.5:1। তবে কিছু কিছু হাউস এখন ও 1:1 লোন দিয়ে থাকে। অনেকেই তা আনন্দের সহিত গ্রহণ করছে। তাছাড়া অনেকেই খবর নিতে থাকে কোন হাউস সব চেয়ে বেশি লোন দেয়। যে জায়গায় সব চেয়ে বেশি লোন দেয়া হয় সেখানে BO অ্যাকাউন্ট ওপেন করে থাকি। আবার যদি কখনও কোন হাউস লোন দিতে আপত্তি করে তখন আমরা তাদের সাথে মিস বিহেবও করি। মার্কেট ডেভলাপমেন্টের কাজ করতে গিয়ে দেখলাম পাব্লিকের সব চেয়ে বেশি আগ্রহ এই লোনের প্রতি। কিন্তু কেন? যারা এই লোন ব্যবহার করেন তারা কি ভেবেছেন খারাপ ও ভাল দিক? 2010এর মার্কেট ক্রাস হওয়ার পর সবচেয় বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে LOAN ব্যবহারকারিরা। Research এ দেখা গেছে প্রতি 100জন লোন ব্যবহারকারিদের মধ্যে 99জনের PF নেগেটিভ হয়ে আছে। যে 1জনের নেগেটিভ হয় নাই তার এক মাত্র কারন হচ্ছে ওই সময় অল্পদিনের মধ্যে লস মেনে লোন অ্যাডজাস্ট করে দিয়েছিলেন। যারা 2010 এ লোন use করেন নাই তাদের PF-এ এখনও নিজের টাকা আছে যা এই জীবনেও নেগিটিভ হওয়ার সম্ববনা নাই এবং তারা যার যে স্টকই হোল্ড করে রাখা আছে তারা জীবনের কোন একদিন তাদের সকল টাকা ফেরত পাবেন। হয়ত সেটা সময় সাপেক্ষ বেপার। একটি সাধারণ ক্যালকুলেশন করা হয়েছিল ওই সময়কার(2010) PF নিয়ে যারা কোন ধরনের buy/sell করেন নাই শুধু স্টকগুলা হোল্ড করেছেন তারা আগামী 25বছরের ভিতরে তাদের টাকা ফেরত পাওয়ার সম্ববনা আছে। তবে কিছু কিছু PF ইতিমধ্যেই টাকা ফেরত চলে এসেছে। কথায় আছে exceptional ঘটনা উদাহরণ হতে পারে না। ওপরদিকে যারা লোনসহ বিজনেস করেছেন তারা শেষ হয়ে গেছেন সংগে হাউসগুলাও শেষ হয়ে গেছে। তাদের নিজের টাকা ফেরত পাওয়া দূরের কথা হাউসগুলা তাদের টাকা ফেরত পাওয়া নিয়েই যথেষ্ট সন্দেহ। লোন অ্যাকাউন্ট কি ভাবে আপনাকে তিলে তিলে শেষ করছে mathematical calculation এর মাধ্যমে দেখা যাক……. (বাস্তবে যেমন ঘটে) আপনি একটি মার্জিন BO অ্যাকাউন্ট ওপেন করলেন 10লাখ টাকা দিয়ে। আপনার লোন রেসিও 1:1 তাহলে দাড়াল 20লাখ সাধারণত দেখা যায় নতুন অ্যাকাউন্ট ওপেন করলে একটু ভয় কাজ করে তাই প্রথম ট্রেড নিলেন লোন ছাড়া X নামক শেয়ার buy করলেন 10লাখ টাকার এবং আপনি mature date এ প্রফিট পেলেন 10% আপনার টাকা হয়ে গেল 11লাখ সাথে লোনও বেড়ে গিয়ে টোটাল হল 22লাখ। প্রথম ট্রেড এ প্রফিট পাওয়ার পর সাধারণত কনফিড্যান্স বেড়ে যায় পর্বর্তীতে আপনি লোনসহ buy এ গেলেন Y নামক শেয়ার টোটাল 22লাখ টাকার এবং সেটাও আপনি প্রফিট পেলেন 5% তাহলে আপনার টাকা হয়েগেল 12লাখ 10হাজার। লোন সহ হয়ে গেল 24লাখ 20হাজার। তখন কনফিড্যান্স তুঙ্গে হাউসকে বললেন আরো লোন দাও, এখন সেই কিন্তূ সে লোন দিতে নারাজ(সাধারণত যা হয় আর কি, আবার অনেক সময় দেয়ও) এই বার আপনি 2টা স্টক buy করার সিদ্ধান্ত নিলেন………… A এবং B 50% করে buy করলেন এবং mature ডেট এ A শেয়ার এ 5%loss এবং B শেয়ারএ 1% প্রফিট তাই আপনি A হোল্ড করলেন B sell করলেন 1% প্রফিটে। আপনি মনে মনে ভাবলেন যাইহুক প্রফিটত আসছে আর ওইটা রিকভার হয়ে যাবে। তখন আপনি B এর টাকা দিয়ে D নামক শেয়ার buy করলেন। 2দিন পর Aতে 15% লস D তে 5% আপনি হোল্ড করলেন……… হোল্ড করলেন ………… 6দিন পর A 20% loss D 5% লসে আছে দেখে আপনি D সেল করলেন এবং A avg করলেন……….তখন আপনার টোটাল হোল্ডিং A লস দেখাচ্ছে 10%। কোন কারণে মার্কেটে মাইর শুরু হয়ে গেল…….. আপনার A বাড়ছে না 2দিন পর A এর প্রাইস আরো কমে গেল তখন লস দেখাচ্ছে 15%…….. হাউস থেকে আপনাকে ফোন দেয়া শুরু কিছু অ্যাডজাস্ট করেন। তখন আপনি বললেন আরো কয়েকটা দিন সময় দেন………. এই ভাবে চলে গেল 1সপ্তাহ আপনার A এর দাম আর বাড়ছে না loss বাড়তে বাড়তে হয়ে গেল 30%…… হাউস হতে ফোন…….. তার চার দিন পর আপনার A এর প্রাইস কিছু 10% এর মত কিন্তূ আপনার কেনা দাম হতে এখন 0 20%লস….. আপনি শেষমেষ সেল করে দিলেন আপনার লস হল 20%…….. আসলে কি তাই? না? তখন আপনার ইকুইটি দেখলেন 7লাখ 10হাজার টাকা। ওই যে আগের লস 5% এবং এখন লস 20%। লাভ হলে যেমন আসে লস হলে তেমন ডাবল যায়। তখন আপনার লোনসহ টোটাল টাকা দাড়াল 14লাখ 20হাজার। এখন আপনাকে কভার করতে হবে 24লাখ টাকা ব্যবহার করে আপনি যে লস করেছেন তা 14লাখ টাকা দিয়ে। % দাঁড়াল আপনার 25%লস কভার করতে হলে আপনাকে 42%প্রফিট করতে হবে। আপনি ভাবলেন হয়ে যাবে তাই লোন অ্যাডজাস্ট না করে আবার লোন নিলেন কিন্তূ হচ্ছে না। হয়ে যাবে ভেবে হচ্ছেও একটায় প্রফিট হয় তো অন্যটায় চলে যাচ্ছে এবং calculation বলে সেটা আর কোন দিনই হবে না। কারন যতদিন যাচ্ছে আপনার লোনের টাকা কমছে……….. শেয়ার মার্কেটে এই লোন হচ্ছে একটা নেশা। সেটা আপনাকে তিলে তিলে সর্বশান্ত করে দিবে। যেমন সমাজকে ইয়াবা,হেরুইন,ফেনসিডিল etc মাদকদ্রব যেভাবে ধ্ংশ করে তেমনি স্টক মার্কেটে লোন সাধারণ পাব্লিকে সর্বশান্ত করে। তাছাড়া উল্লেখযোগ্য আরো কয়েকটা খারাপ দিক আছে যেমন——

1) লোন কোড হলে PE 35-40 এর উপরের স্টক buy করা যাবে না।

2)স্পটে শেয়ার buy করা যাবে না।

3)লোনের সুদ 16-17% হারে দিতেই হবে।

উপকারিতা-

কম টাকা দিয়ে বেশি শেয়ার buy করা যায় প্রফিট হলে ইকুয়েটী অধিক হারে বাড়ে।

পরিশেষে, উপরোক্ত খারাপ ও ভাল দিকগুলা বিবেচনা করলে দেখতে পাই ভাল এর চেয়ে খারাপের পরিমাণ বেশি। তাছাড়া বাহিরের বিভিন্ন দেশে অনেক বেশি লোন দেয়া হয় যেমন 1টাকার বিপরীতে 5টাকা পর্যন্ত। কিন্তূ তাদের মার্কেট এবং আমাদের মার্কেটের মধ্যে বড় পার্থক্য হল তাদের শেয়ার কিনা মাত্র mature কিন্তূ আমাদের কিনার 1দিন পর mature। ওই সকল দেশে লোন বেশি দিলেও রিস্ক ফেক্ট কম কারন বাই করার পরই যদি খারাপ কিছু দেখেন তাহলে সংগে সংগে stop loss নিয়ে সেল করে দিতে পারবেন অনেক কম লসে।প্রক্ষান্তরে আমাদের দেশে buy করার পর যতই খারাপ কিছু দেখেন না কেন মধ্যে একদিন অতিবাহিত হওয়ার পূর্ব পর্যন্ত সেল করতে পারবেন না। সেই হিসেবে বলাই যায় আমাদের দেশে এখনও সময় আসেনি লোন নিয়ে বিজনেস করার। তাছাড়া যারা স্টপলস নেন না তাদের ভুলেও লোন নিয়ে বিজনেস করার চিন্তা করা উচিত্‍ না। আসুন আমরা সবাই LONE কে AVOID করি। নিজে সচেতন হই এবং অন্যকে সচেতন হতে সহযোগিতা করি।

লাইক,কমেন্ট করে সংগে থাকুন। ভাল থাকুন, আপনার টাকা নিরাপদে রাখুন।

2 Comments
  • Akash
    Posted at 12:45h, 01 December

    ভালো উপদেশ শুনতে ভালো লাগে না। খালি হট, বুমবুম আইটেম চোখের সামনে ভাষে।

  • Sabuj younus
    Posted at 09:52h, 04 December

    PF পুরো খালি করে ফেলার সময় কি আসন্ন ?

Post A Comment